ওজোন সেল

বাংলাদেশ ১৯৯০ সালের ২ আগস্ট মন্ট্রিল প্রোটোকল স্বাক্ষর করে এবং মার্চ ১৯৯৪, নভেম্বর ২০০০, জুলাই ২০০১ এবং আগস্ট ২০১০-এ যথাক্রমে লন্ডন, কোপেনহেগেন, মন্ট্রিল এবং বেইজিং সংশোধনী অনুমোদন করে। বাংলাদেশ ০৮ জুন ২০২০-এ মন্ট্রিল প্রটোকলের কিগালি সংশোধনী অনুমোদন করেছে যার মাধ্যমে এইচএফসি-এর ব্যবহার পর্যায়ক্রমে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। বাংলাদেশ মন্ট্রিল প্রটোকলের আর্টিকেল ৫-এর অনুচ্ছেদ ১-এর অধীনে একটি পার্টি। প্রটোকলের স্বাক্ষরকারী হিসেবে, ২০১০ সালের মধ্যে ক্লোরোফ্লোরোকার্বন (সিএফসি), হ্যালন এবং কার্বন টেট্রাক্লোরাইড, ২০১৫ সালের মধ্যে মিথাইল ক্লোরোফর্ম, ২০৩০ সালের মধ্যে এইচসিএফসি এবং ২০৪০ সালের মধ্যে এইচএফসি-এর আমদানি ও ব্যবহার পর্যায়ক্রমে বন্ধ করা বাংলাদেশের জন্য বাধ্যতামূলক। মন্ট্রিল প্রটোকল এবং এর সংশোধনীতে নির্ধারিত বাধ্যবাধকতা পূরণের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সামগ্রিক নির্দেশনায় প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করছে। মন্ট্রিল প্রটোকলের অধীনে বাংলাদেশের বাধ্যবাধকতা পূরণের জন্য, ১৯৯৩ সালে একটি জরিপ করে, যার ভিত্তিতে ১৯৯৪ সালে কান্ট্রি প্রোগ্রাম তৈরি করা হয়। মন্ট্রিল প্রটোকলের নির্বাহী কমিটির ১৪তম সভায় বাংলাদেশের কান্ট্রি প্রোগ্রাম অনুমোদন করা হয়। বাংলাদেশের মন্ট্রিল প্রটোকলের বাধ্যবাধকতা পূরণের জন্য ওজোন সেল গঠন করা হয়।

পরিবেশ অধিদপ্তরের ওজোন সেল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মন্ট্রিল প্রটোকলের কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য কাজ করছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হলেন ওজোন সেলের চেয়ারম্যান। মহাপরিচালক কর্তৃক নিযুক্ত পরিবেশ অধিদপ্তরের একজন পরিচালক ন্যাশনাল ওজোন অফিসার সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ওজোন সেলের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করেন। ওজোন সেলকে নির্দেশনা প্রদানের জন্য, ন্যাশনাল টেকনিক্যাল কমিটি অন ওজোন ডিপ্লেটিং সাবস্টেন্সেস (NTCODS) রয়েছে।  পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব NTCODS-এর সভাপতি।